← Back

হঠাৎ এম্বুলেন্সের সাইরেনের শব্দ। নাকি একটা দুর্ঘটনায় কারো স্বপ্নভঙ্গের আর্তনাদ!

ডিসেম্বর, ২০১১। একটি রোজকার শীতের সকাল।

হঠাৎ এম্বুলেন্সের সাইরেনের শব্দ। নাকি একটা দুর্ঘটনায় কারো স্বপ্নভঙ্গের আর্তনাদ!

ছয় বছর বয়স থেকেই মানসীর প্রবল ইচ্ছা ব্যাডমিন্টন খেলার।

বাবার কাছ থেকেই প্রথম মানসী পেয়েছিলো ব্যাডমিন্টন খেলার অনুপ্রেরণা। পাশাপাশি বিজ্ঞান নিয়ে জানার অদম্য ইচ্ছাও।

আর তাইতো ২০১০ সালে সে ইউনিভার্সিটি অব মুম্বাই থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি কমপ্লিট করে।

সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরিও পেয়ে গেলো গ্রাজুয়েশনের সাথে সাথেই.

"Perfect Life" তাই না?

সুন্দর শৈশব, নামকরা ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন, মন মত চাকরি?!

কিন্তু একটা কথা আছে না।

চাঁদ সুন্দর হলেও তাতেও দাগ আছে।

সেদিন আর আট দশটা সকালের মতই মোটরবাইক নিয়ে কাজে বেরিয়ে পড়ে মানসী। অফিস তো মাত্র ৪ মাইল দূরে!

১০ মিনিটের মাথায় হঠাৎ ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ল মানসী।

সে যাত্রায় বেঁচে গেলেও, মানসীকে হারাতে হয় তার বাম পা।

Rehabilitation থাকা অবস্থায় এক Para-Badminton প্লেয়ার মানসীকে ন্যাশনালের জন্য খেলতে উৎসাহিত করে।

এবং অনুপ্রাণিত হয়েই, মানসী তার প্রথম ইন্টারন্যাশনাল টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ পায় স্পেন এ।

এরপর একের পর এক সাফল্যের পাতায় নাম লেখাতে থাকলো সে।

Bronze Medal for India in Asia Para Games

Gold Medal in World Championship

আরো কত কিছু!

অনেক কিছু কেড়ে নিলেও, সেদিনের দূর্ঘটনাটা কেড়ে নিতে পারেনি মানসীর মনোবল।

তাইতো মানসী যোশী আজ দাঁড়িয়ে আছে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে।